জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সরাসরি সম্প্রচার
বৈষম্য দূরীকরণ
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণ
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ফোরাম
SWATANTRA EBTEDAYI MADRASHA SHIKKHAK FORUM
কার্যালয়: ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার (৩য় তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০। ফোন। ০১৭৯৭-৩৪৯৩৬০
বৈষম্যের শিকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাঃ "উত্তরণের পথ” শীর্ষক আলোচনা সভা
: আকরম খাঁ মিলনায়তন, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা।
প্রবন্ধ উপস্থাপক
: ২৩/১১/২০২৪, রোজ শনিবার, বিকেল ৩টা।
: ড. মুহাম্মাদ মাসউদুর রহমান তালুকদার,
সেক্রেটারী, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ফোরাম
সময়
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
"স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ফোরাম" এর পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও দাবীসমূহ তুলে ধরা হল।
১। ইবতেদায়ী মাদারাসার পথ চলা ও ইতিবৃত্তঃ
উসমানীয় শাসনামল থেকে ২০ শতকের পূর্ব পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বে ইসলামি শিক্ষা তথা জনশিক্ষার প্রাথমিক স্তরের নাম ছিল মক্তব। সরকারী ও বেসরকারী উভয় প্রকার উদ্যোগে মক্তব প্রতিষ্ঠিত হত। (সূত্র: বাংলাপিডিয়া) সময়ের পরিবর্তনে মক্তবের নাম পরিবর্তন করে "ফোরকানিয়া মাদরাসা" নামে পরিচালিত হতে থাকে। ২৫/১০/১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদরাসা শিক্ষা অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এর ১৭ (২) (বি) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মাদরাসা শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে পরিচালিত ফোরকানিয়া মাদরাসা সমূহের নাম পরিবর্তন করে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা নামে পথ চলা শুরু করে। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড হতে রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত প্রায় প্রতিটি মাদরাসায় এককালীন ৪২০০-৭,০০০/-টাকা প্রদান করে। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন-ভাতার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী মাদরাসার সংখ্যা ৬৮৮১টি। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী মাদরাসার সংখ্যা ৭০৫১টি। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী মাদরাসা যার সংখ্যা ৭৪৫৩টি ডাটাবেইজভুক্ত। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আল-কুরআন ও হাদিসের প্রতিফলন ঘটিয়ে তাদের দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক ও মানবিক দিকের সর্বাঙ্গীন বিকাশ এই শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এ শিক্ষা ধারায় লেখাপড়া করছে।
২। ইবতেদায়ী মাদরাসায় অনুদান শুরু:
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড হতে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তির ১০ বছর পর ১৯৯৪ সালে তৎকালীন সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট এর অধীনে (স্মারক নং-শা: ৩/২ এম-২২/৯৩/৫৫৯ তারিখ-০৮/০৫/১৯৯৪ পত্র মূলে) প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু উপজেলা ও জেলা যাচাই- বাছাই কমিটির বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে প্রায় ৪৫০০ ইউনিয়নের মধ্যে হতে মাত্র ১৫১৯টি মাদরাসাকে অনুদানভূক্ত করা হয় এবং শিক্ষকদের অনুদান দেয়া হয় মাসিক ৫০০/- টাকা হারে। এখানে উল্লেখ্য বে-সরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক কন্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একই আদেশের বলে ৫০০/- টাকা অনুদান দিয়ে শুরু হয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে হতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা হলে বে-সরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহ "প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের” অধীনে চলে যায়। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা সমূহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় থেকে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে ২৬,১৯৩ টি রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। অথচ একই সিলেবাস সহ অতিরিক্ত আল-কুরআন ও হাদিসের বিষয় শিক্ষা প্রদান করেও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা একটিও জাতীয়করণ করা হয়নি। বিষয়টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চরম কৈাম্যমূলক আচরণ যা মাদরাসা শিক্ষার বিকাশ কে শিকড় থেকে কেটে ফেলার উদ্যোগ।
৩। ইবতেদায়ী মাদরাসার অনুসান বৃদ্ধি।
২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইওতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকগণ কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন শুরু করলে ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বেডা বৃদ্ধির আশ্বাসে শিক্ষকগণ আমরণ অনশন ভঙ্গ করলে ২২ জানুয়ারী ২০১৩ শিক্ষকদের অনুদান ১,০০০/-টাকায় উন্নীত করে। ঐ বছরের শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ডিসেম্বর মাসের অনুদানের সাথে ২০% মহার্ঘ্য ভাতা যোগ করে ১.২০০/-অনুদান প্রদান করে। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা