গরিবের ঘরে জন্ম। পড়াশোনা শেষে স্কলারশিপ পেয়ে বিদেশে লেখাপড়া করতে গিয়ে আর ফিরে আসে নি। ওখানে নাগরিকত্ব নিয়ে পার্মানেন্ট হয়ে গেছে।
স্কুল জীবনে লেখাপড়ার খরচ জোগানোর ক্ষমতা তার বাবার ছিল না। সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা থাকার কারনে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পেরেছে। খুব মেধাবী ছাত্র সে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় খুবই ভাল রেজাল্ট করলে এলাকাবাসীর সুনজরে আসে সে।
যখন সে অভাবের কারনে মাধ্যমিকের পর লেখাপড়া ছেড়ে দিবে ভাবছিলো, এলাকাবাসী সেটা হতে দেয় নি। একজন মেধাবীকে টিকিয়ে রাখতে সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
একপ্রকার মানুষের সাহায্য নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার তেমন খরচ নাই, হলে ফ্রি থাকা। টুকটাক খরচ যা টিউশনি ও অনুদান থেকে চালিয়ে নিত। বিশ্ববিদ্যালয় শেষে ডাক পড়ে বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ফুলফ্রি স্কলারশিপ।
চলে গেল। সেই যে গেল আর এলো না। এখন ওখানেই ভাল চাকরী করে। সিটিজেনশীপ পেয়ে গেছে। সে নাকি আর দেশে আসবে না। এ দেশ নাকি তার ভাল লাগে না। তার সমস্ত মেধা এখন বিদেশে খাটছে। কি লাভ হলো ওই এলাকাবাসীর? সরকার তার পিছনে যে খরচ করলো, কি লাভ হলো দেশের?
আমার ট্যাক্সে, চাষী-দিনমজুরের টাকায় তুমি আজ এই জায়গায়, কেউ ডাক্তার হয়ে রুগীকে ঠকাচ্ছো, বড় বড় চাকরী করে ঘুষে মগ্ন। যে মেধার বড়াই করছো, সেটা আমাদের টাকায় লালিত পালিত। আমাদের জন্য কি করছো, তা কি তুমি বলতে পারো?
Tapash kumar Roy
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?
Davil Man
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?