#কাব্যকথা
💔😪-১১ মাস হলো বিয়ের! আজ পযর্ন্ত বউ হাত স্পর্শ করতে দেয়নি।
-কারন তার Boyfriend ছিলো।
-হঠাৎ দেখি বউ আমার নীল শারি, লাল টিপ এবং ঠোঁটে হালকা লিপিস্টিক দিয়ে কোথায় যেনো যাচ্ছে।
'জিঙ্গাস করলম'
-ইশরাত কোথায় যাচ্ছো এমন পরন্ত বিকালে।
-এইতো হাসিবের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি!
-ওহ!
-চিন্তা করিওনা এই মাসেই তোমাকে ডিভোর্স দিবো। তার পরে হাসিব কে বিয়ে করে ডুবাই সেটেল হলো।
-ঠিক আছে তুমি যা ভালো বুঝো?
-কথাটি বলেই ইশরাত হন হন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো Boyfriend এর সঙ্গে দেখা করতে।
-এই দিকে ইশরাত এর স্বামী অভ্র চিন্তিত মনে রুমের ভিতরেই শুয়ে থাকে।
-প্রায় ২ ঘন্টা পরে ইশরাত বাসায় আসলো কান্না করতে করতে, এইটা দেখে অভ্র জিঙ্গেস করে'
-কি ব্যপার ইশরাত কান্না করছো কেনো।
-হাসিব আমাকে ঠগাইছে।
-মানে!
-ও অন্য একটি মেয়েকে ভালোবাসে। এখন তাকেই বিয়ে করবে।
-পুরা কাহিনী খুলে বলতো।
-আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখি , একটি মেয়ে নিয়ে শুয়ে আছে। যখন জিঙ্গেস করলাম হাসিব এই মেয়েটি কে তখন বললো ওর নাকি এইটা girlfriend আমি আবার জিঙ্গেস করলাম তাহলে আমি কে। তখন বলে তুমিও গার্লফ্রেন্ড কিন্তু তোমার সঙ্গে টাইম পাস করি। এর পরে বিয়ের কথা বললে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়'
-ওহ তার মানে তোমাকে ও ভালোবাসেনা। শুধু শুধু টাইম পাস করার জন্যে কথা বলে। যেটা তুমি বুঝতেই পারলে না।
-আমি বাছতে চাইনা। আমি আত্মহত্যা করবো।
-পাগলি একটা আত্মহত্যা সব কিছুর সমাধান নাকি। তুমি নতুন করে বাছতে শিখো। এমন সিদ্ধান্ত কখনো নিবানা।
-কি করবো আমি কোথায় যাবো এখন।
-কোথায় যাবে মানে। আমার সঙ্গেই থাকবা। 'কোন সমস্যা '
-তোমাকে আমি কতো কষ্ট দিয়েছি। আশ পযর্ন্ত হাত স্পর্শ করতে দেইনি।
-তাতে কি।
-আমাকে ভালোবাসো কি তুমি সত্যি করে বলবা।
-হুমমম ভালোবাসবোনা কেনো।
-ওহ!
-আচ্ছা শোন আমি বাজারে যাচ্ছি বাজার করার জন্যে তুমি একটু রেষ্ট নাও।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
-ভূল করেও নিজের কোন ক্ষতি করবানা। এটা কিন্তু বোকামি হবে।
-হ্যাঁ!
'এর পরে অভ্র বাজারে গিয়ে বাজার সদাই করে বাসায় আসতে আসতে রাত ১০ টা বাজে।
'তো বাজার গুলা রেখে' রুমের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই অভ্র আশ্চর্য হয়। কারন রুমটি বেশ সুন্দর করে গোছানো আবার বিছানার উপরে ফুলের পাপরি দিয়ে একটি লাভ তৈরি করা।
-কেমন হয়েছে রুমটি সাজানো।
-মাশ - আল্লাহ্ অনেক সুন্দর। কিন্তু হঠাৎ এতো সুন্দর করে সাজার কারনটি কি জানতে পারি।
-হুমমম আজ এই রাত শুধুমাত্র তোমার আর আমার!
'কথাটি বলেই ইশরাত অভ্রের দিকে এগোতে থাকে' এটা দেখে অভ্র একটু ভয় পায়'
-এইইই কি করছো। কাছে আসতেছো কেনো এমন করে শুনি।
-তোমার কাছে যাবোনা তবে কোথায় যাবো। এই মন যে তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্যে ব্যাকুল হয়ে আছে।
-কিইইই।
-হুমমম তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। বিয়ের প্রায় ১ বছর হতে যাচ্ছে কখনো ভালোবাসা দেইনি। আজ ভালোবাসা দিতে দিতে পাগল করবো তোমাকে।
-তাইই!
-হুমমমমম!
'ইশরাতের এমন কথা শুনে অভ্র বুঝতে পারে। ইশরাত তার ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এমন করতেছে।
-ভালোবাসি তোমাকে।
-হুম জানি, কথা দিচ্ছি আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবোনা। সারা জীবন শুধুমাত্র ভালোবেসেই যাবো।
-তাইই নিজের ভুল বুজতে পেরেছো।
-হুমমম।
-আমি জানতাম তুমি একদিন নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে।
-সত্যি তুমি একটা অন্যরকম পুরুষ। আচ্ছা তুমি কি আমাকে মাপ করে দিতেছো এই সবের জন্যে।
-হুমমম মাপ করছি।
-তাহলে চলো আজ ভালোবাসার মাঝে হারিয়ে যাই।
-চলো।
" সত্যি পুরুষের ভালোবাসা অন্য রকম! হাজারো ভূলের পরেও প্রিয় মানুষটাকে মাপ করে দেয়। এটাই হয়তো ভালোবাসা।
(সমাপ্ত)
গল্প:- স্বামী,,,
ক্লিক করে ইনকাম প্রতিমাসে 500$
https://clickhere.halebd.com?reference=nazrul1995
হে আল্লাহ আমাকে অধিক পরিমাণে ধর্য ধরার শক্তি দাও।